ঢাকা , বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ , ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​বিদায়ী ভাষণে যা বললেন বাইডেন

ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় : ১৬-০১-২০২৫ ০৩:৫৭:৫৭ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৬-০১-২০২৫ ০৩:৫৭:৫৭ অপরাহ্ন
​বিদায়ী ভাষণে যা বললেন বাইডেন ​সংবাদচিত্র : সংগৃহীত
জাতির উদ্দেশে বিদায়ী ভাষণ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বুধবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিস থেকে দেওয়া ভাষণে তিনি তার মেয়াদে প্রশাসনের অর্জন তুলে ধরেন। তিনি চাকরির সুযোগ সৃষ্টি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা, মহামারি থেকে দেশকে পুনরুদ্ধার এবং আমেরিকাকে আরও নিরাপদ করার কথা উল্লেখ করেন।

বিদায়ী ভাষণে বাইডেন বলেন, আমরা যা করেছি তার পূর্ণ প্রভাব অনুভব করতে সময় লাগবে। তবে বীজ রোপিত হয়েছে, যা আগামী দশকগুলোতে বেড়ে উঠবে এবং ফল দেবে। 

রিপাবলিকান পার্টির নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবেন। আর মেয়াদ শেষে বিদায় নেবেন ডেমোক্রেটিক পার্টির বাইডেন। ট্রাম্পের দায়িত্ব নেওয়ার দিন কয়েক আগে বাইডেন তার বিদায়ী ভাষণ দিলেন।

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বাইডেন বলেন, শক্তিশালী স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী তাদের অপ্রতিহত প্রভাব ব্যবহার করে আমাদের জলবায়ু সংকট মোকাবিলার পদক্ষেপ ধ্বংস করতে চায়, নিজেদের ক্ষমতা এবং মুনাফার স্বার্থে।

তিনি সামাজিক মাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর সমালোচনা করেন, বিশেষ করে মেটা, যা স্বাধীন তথ্য যাচাইকারীদের কার্যক্রম বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। বাইডেন বলেন, "সামাজিক মাধ্যম সত্যের উপর মিথ্যা চাপিয়ে দিচ্ছে, ক্ষমতা ও মুনাফার জন্য।"

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় (এআই) বিপুল সম্ভাবনা দেখলেও এর বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করেন বাইডেন। তিনি বলেন, এআই বিপুল সম্ভাবনা উপহার দিতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রহরা না থাকলে তা নতুন হুমকির জন্ম দিতে পারে। তবে রূপান্তরমূলক প্রযুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই চীনের ওপর নেতৃত্ব নিতে হবে বলে উল্লেখ করেন বাইডেন। 

প্রাইমটাইমে দেওয়া ভাষণে ৮২ বছর বয়সী বাইডেন বলেন, আজ আমেরিকায় চরম সম্পদ, ক্ষমতা ও প্রভাবের একটি অলিগার্কি বিকশিত হচ্ছে, যা আক্ষরিক অর্থে যুক্তরাষ্ট্রের সমগ্র গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলেছে। এটি খুব অল্পসংখ্যক অতিধনী লোকের হাতে ক্ষমতার বিপজ্জনক কেন্দ্রীকরণ।
বাইডেন সিলিকন ভ্যালির ধনী ব্যক্তিদের প্রতি ইঙ্গিত করেন, যাদের মধ্যে ইলন মাস্ক উল্লেখযোগ্য। মাস্ক ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ এবং তার প্রচারণায় বিশাল আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যক্তিত্ব যেমন জেফ বেজোস এবং মার্ক জাকারবার্গ ট্রাম্পের সাথে সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করছেন।
বক্তৃতার শেষে বাইডেন আমেরিকানদের আহ্বান জানান, "আপনারা দেশের রক্ষাকবচ হোন। আগুনের শিখা প্রজ্জ্বলিত রাখুন।"

বাইডেনের বিদায়ী ভাষণটি আসে একই দিনে, যেদিন তিনি ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণা দেন। এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হবে ১৯ জানুয়ারি, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসার একদিন আগে। তিনি জানান, এই আলোচনা তার কূটনৈতিক জীবনের সবচেয়ে কঠিন একটি চ্যালেঞ্জ ছিল।

তবে ট্রাম্পও এই চুক্তির কৃতিত্ব দাবি করেছেন, উল্লেখ করে বলেছেন, "আমার নির্বাচনী জয়ই এই চুক্তিকে সম্ভব করেছে।"২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন বাইডেন। ২০২৪ সালের নির্বাচনেও বাইডেন লড়তে চেয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। তার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে ট্রাম্পের কাছে পরাজিত হন।বাইডেনের বিদায়ী ভাষণ ছিল ওভাল অফিস থেকে তার পঞ্চম এবং শেষ আনুষ্ঠানিক ভাষণ। বাইডেন সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে বক্তব্য রাখেন, যেখানে তিনি তার পররাষ্ট্রনীতির রেকর্ড-এর প্রশংসা করেন। সূত্র- বিবিসি

বাংলা স্কুপ/ ডেস্ক/ এনআইএন/এসকে 


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ